নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রাণকেন্দ্রেহাইস্কুলমাঠ অবস্থিত।
প্রতি বছর এ মাঠেনিম্নলিখিত ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ঃ
(ক)গোল্ডকাপ ফুটবল
(খ) প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ
(গ) ১ম বিভাগ ফুটবল লীগ
(ঘ) প্রতি বৎসর ভলিবল লীগ অনুষ্ঠিত হয়।
(ঙ) প্রতি বৎসর যুব এবং সিনিয়র ক্রিকেট লীগ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ফুটবলঃনবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ক্লাব ও লাইব্রেরীসংঘের আয়োজনে এবংউপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায়ফুটবল খেলাহয়ে থাকে।উৎসব মুখোর পরিবেশে কয়েক হাজার নারী-পুরুষসহ স্থানীয়বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংবাদিক সংঘঠনের শতশত নেতাকর্মী এবং বিভিন্নশ্রেনী পেশার মানুষ এই ব্যতিক্রমী ফুটবল টুর্নামেন্ট উপভোগ করএথাকেন। নবাবগঞ্জখেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিএই খেলার সার্বিক তত্ববধান করে থাকে।
কানামাছিঃকানামাছিঃউভয়পে সমান সংখ্যক প্লেয়ার নির্দিষ্ট দুরত্বে লাইন ধরে বসে থাকতো এবং মাছফুল পাখি ইত্যাদির ছদ্দনাম থাকতো উভয়ের প্লেয়ারের। প্রতিপরে অধিনায়ক গিয়েএকজনের উভয় চোখে চাপ দিয়ে ধরে ডাকতো আইয়ও আমার গোয়াল মাছ। তখন গোয়াল মাছছদ্দনামের প্লেয়ার প্রতিপরে ওই প্লেয়ারের নিকট গিয়ে সন্তর্পনে কপালে একটিচিমটি কেটে আসতো। পরে চোখ ছেড়ে কে চিমটি দিয়েছে তার নাম বলার জন্য পাঠানোহতো। শিকার ধরতে পারলে সে মরা খেত না ধরতে পারলে যাকে পাঠানো হতো সে উল্টোমরা খেত।
গোল্লাছুটঃগোল্লাছুটঃক্রিকেটের টচের আদলে টচ দেওয়া হয় যাকে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হতো ছিটফট। একটিপাতা বা কাগজের এক সাইটে মুখের ভেতর থেকে থুথু (ছেফ) দিয়ে বলা হয় ছেফ নালেফ। এক প চায় ছেফ অপর প চায় লেফ। উপর দিকে নিপে করার পরে ঘুরে ঘুরে মাটিতেপড়ার পর যে প টসে জিতে সে প্রথমে পায় গোল্লার স্থান। অপর প ফিল্ডিং করারজন্য মাঠের সুবিধাজনক স্থানে নেয় শক্ত অবস্থান। চিহ্নিত একটি স্থান বাগর্তকেই নির্ধারন করা হয় গোল্লার স্থান। সেখানে দাড়িয়ে থাকা দলিয় অধিনায়কেরহাত ধরে এক এক করে পরস্পরের হাত ধরে ধরে লম্বা হয়ে গোল্লার চারদিকে সকলেইঘুরতে থাকে। এবং বলে গুল্লা ঘুর ঘুর ছুড়ানি, হাত বেটি পিরানী অথবা গুল্লাছাঙ্গে না ভাঙ্গে। তখন প্রতিপ হতে ভাঙ্গে বলা হলেই শুরু হয় সুযোগমতোভাঙ্গনের পালা। সেফাকে গুল্লার সাথে হাত ধরাধরি থাকাবস্থায় প্রতিপরে কাউকেছুইতে পারলে সে খেলা থেকে হয়ে যায় আউট আবার বিচ্ছিহ্ন অবস্থায় গোল্লার পরেকাউকে ছুইতে পারলে সেও হয়ে যায় ম্যাচ থেকে আউট। পরনেই প্রতিপরে প্লেয়ারকেপাশ কাটিয়ে প্রবল বেগে দৌড়ে পাড়ি দিতে হয় মাঠ। প্রতিপরে প্লেয়ার না ছুইতেপারলে এবং মাঠ পাড়ি দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে যেতে পারলে সে পরবর্তীধাপের ম্যাচের জন্য মনোনিত হয় এবং অধিনায়ক নির্দিষ্ট স্থান থেকে বেরিয়ে নাগেলে গোল্লার থু বলে বেরিয়ে পড়ে বিজয়ীদের প্রত্যেকে একটি করে লাফ দিয়ে দিয়েসামনে যতটুকু এগিয়ে যাবে সেখানে আবার স্থাপন করা হবে গুল্লা । সেভাবে কয়েকশিফটের মাধ্যমে সিমানা অতিক্রম করতে পারলে হয়ে যায় সাত গুট্টা বা সাতদুন।কিন্তু গোল্লার সহপাঠি সকলেই মাইর খেলে বেরিয়ে পড়তে হয় গুল্লাকে এবং প্রতিপসকলেই তাকে একসাথে ধাওয়া করে। ধাওয়া অতিক্রম করে সবাইকে পাশ কাটিয়ে মাঠপাড়ি দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌছতে পারলে লাগে এক গুট্টা আর না পৌছতে পারলেবা প্রতিপরে হাতের থাপ্পড় খেলে সকলেই মারা গেছে বলে ধরে নেয়া হয় এবং প্রতিপপেয়ে যায় গুট্টা লাগানোর সুযোগ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস